
আমি তো ঘাস ছিলাম
আমি তো ঘাস ছিলাম
অথচ মাটির শরীরে মিশে গিয়ে শিকড় হতে পারিনি,
কারণ আমি জানতাম, প্রতিটি পা-ফেলা নাটক,
আর আমি নিছক দর্শক নই—
একটি অনুচ্চারিত অনুচ্ছেদের পাঁজরে জমে থাকা প্রতিধ্বনি।
তারা ভাবত আমি নিস্পন্দ ছায়া—
তবু কেউ বুঝল না, ছায়ারও নিজস্ব উত্তাপ থাকে,
যা নিঃশব্দে পোড়ায় মৌনতাবাদের থিয়েটার।
আমি তো ওদের মতো ভদ্রতার পিচ্ছিল গ্লাভস পরিনি—
আমার আঙুলে লেগে ছিল প্রতিশোধ নয়, প্রতিস্মৃতি।
তোমাদের ‘শালীনতা’ ছিল বহুভাগী নকলের মুখোশ—
একটাই ছাঁচে গড়া প্রেত-সমাবেশ।
আমার স্তব্ধতা ছিল আগ্নেয়গিরির অন্তর্গত শ্বাস,
যা শেষমেশ ছড়িয়ে পড়ে ভাষার পাতালে।
আমি কবি,
কারণ আমি শব্দে বুনে যাই অপমানের অভিজ্ঞান,
একেকটি ছন্দে গেঁথে দিই তোমাদের সূক্ষ্ম ছুরির ছাল,
যা নবীন উচ্চারণের শ্বাসনালী চেপে ধরে—
আমি আর যেতে চাই না বাতিঘর জিন্দাবাজার,
সেখানে এখনো দেয়ালে টাঙানো পুরনো কবিতার মুখোশ,
যেখানে প্রতিটি চা-চামচে মিশে থাকে—
অপরিচয়ের কুয়াশা আর ছদ্মমিত্রতার চিনি…।
চমৎকার এক অনুভব অনেক দূর নিয়ে যায় কবি দা
আপনার মন্তব্যে ভীষণ খুশি হলাম। কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা জানবেন