
বাঁচতে চাই একসাথে, শুদ্ধস্বরে
বছর কুঁড়ি আগে হ্যাংলা, লিকলিকে ছেলেটিকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছিলে
সেদিন তোমার চোখে ছিলো অন্যরকম এক বিশ্বাসের আভা
আবরণহীন রূপালী মুখখানায় প্রায়শই জেগে উঠতো প্রলয়ের দৃশ্যাবলী
ঠোঁটের দু’ধারে লেগে থাকা হাসিতে ফুটে উঠতো স্বর্গীয় আনন্দ
আহা! কত যে দিন কেটেছে বাঁধভাঙা যৌবনের সোনালী উষ্ণতায়!
অকস্মাৎ আলোড়নে কিংবা শরীরে লেপটানো স্মৃতিগুলো
পরক্ষণে মেঘের রেণু উড়াতে উড়াতে তোমার বিষণ্ন ছায়ায়
আমি হাত বুলাতাম, স্বপ্নলালিত সৌন্দর্যে খেলা করতো বিশ্বাসের চোখ!
শ্যাম প্রহরে তোমার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়তো আমার দেহে, বাহুগন্ধে
রাত গভীরে আত্মার প্রতিভাসে তুমি- আমি সাড়ম্বরে সৃষ্টির বীজ বুনতাম…
এভাবেই অন্তত দু- দশক পেরিয়ে…..
এখনো আমি- তুমি কাছাকাছি, অনেকটাই বার্ধক্যের প্রারম্ভিকতায়….
নির্বাসনে যৌবনকাল!
তোমার দেয়া রুমালখানা যেমনটি মলিন হয়ে গেছে
তদ্রূপ ভালবাসাটুকুও
আমাদের বিস্তৃত ছায়ায় মিশে আছে কান্নার শব্দযুক্ত বাতাসের তরঙ্গ
ভালবাসা শূন্যে- আমাদের সন্তানরাও মজ্জাগত হয়ে উঠছে মব কালচারে!
বৈষম্যের করাঘাতে ডুবে যাচ্ছে অনাদিকালের ঐতিহ্য
স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি- সামনে ঘোর অন্ধকার, হাহাকার!
আমাদের কন্যার ছেড়া ব্রা কিংবা রক্তাক্ত শাড়ী দেখার আগেই
দৃশ্যমান হোক আরেকটি প্রতি বিপ্লব!
এসো, আবারো আমরা ভালবাসায় উজ্জীবিত হই,
বাক্, সম্পদ কিংবা হিংসুটে সম্পর্কের লেনাদেনা শেষ করে
অন্তত; আমাদের সন্তানদের বুকে আগলে রাখি…
আমরা বাঁচতে চাই একসাথে, শুদ্ধস্বরে।
এসো, আবারো আমরা ভালবাসায় উজ্জীবিত হই, সুন্দর উক্তি। কবিতা হয়ে উঠুক আমাদের জীবন চলার আদর্শ। ধন্যবাদ কবি..