
সন্মানিত সকল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্দেশ্যে
বলছি শুনোর সকল রেজিষ্টার সদস্যদের জানানো যাচ্ছে যে, আমরা একটি ভিন্ন ধরনের বাংলা কমিউনিটি ব্লগিং সাইট তৈরির উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলছি। মে ১৯, ২০২৫ থেকে শুরু করে আমাদের ব্লগে আলহামদু লিল্লাহ বেশ কজন প্রতিষ্টিত কবি, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর পেয়েছি। যারা প্রতিদিন আমাদের উন্মুক্ত মতামত প্রচারের ব্লগে কন্টেন্ট উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। এবং আমরাও যথাসাধ্য প্রতিটি কন্টেন্টের জন্য দৃষ্টিনন্দন কভার উপহার দিয়ে তা আপলোড করে দিচ্ছি। যা বাংলাদেশের কোনো প্লাটফর্ম এখান পর্যন্ত করেনি।
আমাদের বৈশিষ্ট্য:
অন্যান্য সকল বাংলা থেকে আমাদের বৈশিষ্ট ভিন্ন রাখার প্রত্যয়ে এখনো এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অন্যান্য বিন্নতা হলো:
– আমরা নতুন বা পুরাতন কবি/লেখক বলে ভেদাভেদ ক্রিয়েট করিনা।
– কোনো লেখকের লেখা নিয়েও আমাদের কোনো মুন্সীয়ানা নেই। স্বাধীনভাবে কন্টেন্ট প্রচারে আমরা বিশ্বাসী।
– আমরা সকল সদস্যদের নিজস্ব ড্যাশবোর্ড থেকে নিজস্ব নামে কন্টেন্ট প্রচারে উদ্বুদ্ধ করি। যদিও বা কেউ ছদ্ম নামে লিখা প্রচার করে তাতেও আমাদের নিষেধাজ্ঞা নেই।
– লেখকদের কাছ থেকে লেখা ধার করে এডমিনের ড্যাশবোর্ড থেকে আমরা লেখা প্রচার করিনা।
– কন্টেন্ট ই-মেইলে রিসিভি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেলে রেখে, মনোনয়ন হয়নি বলে প্রচার বন্ধ করিনা।
– আমাদের কন্টেন্ট প্রচারে ওয়ার্ড সংখ্যার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
– প্রতিটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নিজস্ব আর্কাইভ সৃষ্টিতে সহায়তা করে থাকি।
– আমরা কোনো ফুড ব্লগিং, ফ্যাশন ব্লগিং, ট্রাভেল ব্লগিং, টেকনোলজি ব্লগিং, উপন্যাস ব্লগিং, কৃষ্টি-কালচার-ইতিহাস নির্ভর নির্তিষ্ট কোনো কন্টেন্ট প্রচার করিনা।
– আমরা হলুদ জার্নালিজমের কাছ থেকে অনেক দূরে।
– আমরা এখন পর্যন্ত প্রতিটি কন্টেন্টের কভার ক্রিয়েট করে তবেই পাবলিশ করছি।
– আমাদের প্রচারের পাশাপাশি আমরা একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের পরিচিতি প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আমাদের উদ্দেশ্য
সৃষ্টিশীলতা
দেশ, জাতি, ধর্ম, সমাজ, সংসার, রাজনীতি, অর্থনীত নিয়ে যদি আমাদের মাথায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, নিজের মনের ভেতর নানা অসংগতি, প্রশ্ন কিলবিল করে, সৃজনশীলতা আপনার মনকে উদ্দীপ্ত করে, সুখ, দু:খ, বেদনা বিরহ, সফলতার উন্মুক্ত মতামত সৃষ্টিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে কোনো লিখনি বদলে দিতে পারে পাঠকের মনস্তত্ত্ব।
আত্মোন্নয়ন
নিজের আত্নোন্নয়নের জন্য, নিজেকে বদলে দেয়ার জন্য সদা সচেষ্ট।
আইকন তৈরি করা
একজন আইকন তৈরিতে আমাদের সাইট। যেন সকলেই আপনার মতাদর্শকে গুরুত্ব দেয়। আপনার লিখনি নিয়ে ভাবায়, অনুপ্রাণিত করে। আপনার লিখনির মাধ্যমে আপনাকে চিনবে, গুগল সার্চে আপনার নাম ভাসবে। আপনার নাম আপনার সবচেয়ে বড় সাহস হয়ে উঠবে, আপনার লেখা আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠবে, আপনার চিন্তাশক্তি আপনার ক্ষমতার সূচক হয়ে উঠবে। ওয়েব দুনিয়া চিনবে আপনাকে। চ্যাটজিপিটি খুঁজে পাবে আপনাকে।
বলছি শুনো নিয়ে চ্যাটজিপিটির মূল্যায়ন :
বলছি শুনো: একটি মুক্ত চিন্তার মঞ্চ
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা ব্যক্তিগত ব্লগগুলোতে মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করছে ঠিকই, কিন্তু অনেক সময় তা সীমাবদ্ধ থাকে সেন্সরশিপ, গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার অভাব কিংবা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে। এরকম পরিস্থিতিতে “বলছি শুনো” একটি নতুন ধরণের উদ্যোগ, যা মানুষকে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ করে দেয়, চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং সমাজে গঠনমূলক সংলাপের একটি মঞ্চ তৈরি করে।
বলছি শুনো কী?
“বলছি শুনো” একটি অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মতামত, চিন্তা কিংবা গল্প ভাগ করে নিতে পারেন অন্যদের সঙ্গে। এটি শুধু একটি ব্লগ বা ফোরাম নয়—এটি একপ্রকার চিন্তার বিপ্লবের জায়গা, যেখানে প্রত্যেক মানুষই শোনার এবং বলার সমান অধিকার পান।
এই প্ল্যাটফর্মে লেখা যায়—
ব্যক্তিগত গল্প
সামাজিক বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক মতামত
মানসিক স্বাস্থ্যের অভিজ্ঞতা
কবিতা, গদ্য বা সাহিত্যচর্চা
বাস্তব জীবনের ঘটনাপ্রবাহকেন “বলছি শুনো” বিশেষ?
অজ্ঞাতনামা প্রকাশের সুযোগ: কেউ চাইলে নিজের নাম প্রকাশ না করেই লেখা প্রকাশ করতে পারেন। এটি বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ে লেখার সময় সহায়ক হয়।নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ: “বলছি শুনো” নিশ্চিত করে যে, প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক, আক্রমণাত্মক বা অপমানজনক মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও দায়িত্বশীলতার চর্চা রয়েছে।
কমিউনিটি ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া: এখানে পাঠকরা শুধু মন্তব্য করেন না, বরং লেখাগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেন। ফলে এটি একমুখী নয়, বরং দ্বিমুখী মত বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম।
বিভিন্ন ভাষায় লেখা প্রকাশ: বাংলা ছাড়াও অন্যান্য ভাষায় লেখার সুযোগ থাকায় এটি বহুভাষিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
“বলছি শুনো” এর মূল লক্ষ্য হল এমন একটি ভার্চুয়াল চত্বর তৈরি করা, যেখানে মানুষ কথা বলতে সাহস পায়, ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করতে শেখে এবং মত প্রকাশের মধ্যে দিয়ে নিজেদের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে।
আজকের সমাজে অনেকেই কথা বলতে ভয় পান। সমাজ, পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের চাপ মানুষকে চুপ করে রাখে। সেই মৌনতা ভাঙার একটা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস হল এই “বলছি শুনো”।
প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্যসমূহ
সহজ ইউজার ইন্টারফেস: নতুন লেখকরাও সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।সম্পাদকীয় সহায়তা: কিছু লেখার জন্য সম্পাদকের পরামর্শ পাওয়া যায়, যা লেখার মান উন্নত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
“বলছি শুনো” শুধু লেখা প্রকাশের জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। ভবিষ্যতে—
লাইভ লেখক আড্ডা
পডকাস্ট রিলিজ
লেখকদের প্রকাশনার সুযোগ
অনলাইন ও অফলাইন লেখালিখির কর্মশালা
এইসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি এক বিশাল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের রূপ নিতে পারে।শেষ কথা
“বলছি শুনো” কেবল একটি সাইট নয়; এটি একটি আন্দোলন, একটি মুক্তির ডাক। যাদের বলা হয়নি, যাদের বলা হয়নি শুনে, তাদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম। এখানে সবাই সমান, সবাই প্রাসঙ্গিক, সবাই গুরুত্বপূর্ণ।যদি আপনার ভেতরে জমে থাকা কিছু থাকে—কিছু কথা, কিছু অনুভব—তাহলে “বলছি শুনো” আপনাকে ডাকছে।
বলুন, আমরা শুনছি।
অনুরোধে,
সকলের উদ্দেশ্যে তাই অনুরোধ, আপনার পরিচিতি, আপনার মতামত, আপনার দর্শন লিখুন। আমরা প্রচার করবো।
দয়া করে লগইন করে আপনার লিখা আপনি পোষ্ট করুন। পোষ্ট আপলোডে সমস্যা হলে (bolchishuno@gmail.com) এই আইডিতে মেইল করুন এবং আপনার মোবাইল নাম্বার সংযোজন করুন। আমাদের সাপোর্ট টীম আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
যাদের লেখা পাবলিশ হচ্ছে, দয়া করে আপনার লেখা প্রচারের পাশাপাশি বলছি শুনো’র প্রচারেও সহায়তা করুন এবং লিখতে আগ্রহীদের আমাদের ব্লগে লেখা প্রচারে উৎসাহিত করুন।
আর,
বলছি শুনোর সকল কন্টেন্ট নিয়ে বেশি বেশি মন্তব্য করুন। মনে রাখবেন, আপনার একটি মন্তব্য একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে অনেক বেশি বেশি কন্টেন্ট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে।
যেসব বিষয়ে লিখবেন-
– ব্যক্তিগত গল্প
– সামাজিক বিশ্লেষণ
– রাজনৈতিক মতামত
– মানসিক স্বাস্থ্যের অভিজ্ঞতা
– কবিতা, গদ্য বা সাহিত্যচর্চা
– বাস্তব জীবনের ঘটনাপ্রবাহপরিশেষে,
সকলের সুস্থতা কামনায়,
বলছি শুনো পরিবার
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই পাশে আছি