
বিকৃত অন্তর্জাল ও একটি বিভাজিত প্রতিচ্ছবি
বিকৃত অন্তর্জাল ও একটি বিভাজিত প্রতিচ্ছবি
পিকাসোর চোখে গড়া এক ফেসবুক ফ্রেমে
ঝুলে থাকে বিকৃত মানব-মুখ—তাতে
রক্তের বদলে রিঅ্যাকশনের স্রোত।
অর্থহীন শব্দের বৃষ্টি নামে কমেন্টবক্সে,
যেন করোটিতে সেফুদার চিৎকার জমে ওঠে
স্যাঁতসেঁতে মেঘ।
মিডিয়ার ক্যামেরা আজ কোলকাতার ময়ুখরঞ্জনের মুখোমুখি,
অথচ ছায়ায় পড়ে থাকে সত্য—চোখ রাঙায় কাচের পর্দা।
একটি ভুল নাম, একটি ছড়ানো ক্লিপিং, একটি সংলাপ—
এসবেই গড়ে ওঠে সীমান্তে শত্রুতার স্তুপ।
রাজনীতি এখন নৈঃশব্দ্যের শত্রু—
শুভেন্দুর ভাষায় বিভক্ত হয় সম্পর্ক, বিভাজিত হয় দৃষ্টিভঙ্গির মৌল।
ছাত্রের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, কবিতার স্থানে রিল,
গোপন প্রেম ভুলে গেছে চিঠির বানান।
আধা-পরিচিত মুখেরা হয়ে ওঠে নায়ক,
কারণ তারা বেশি শেয়ার পায়, বেশি শর্টস বানায়।
জ্যোৎস্না ছুঁয়ে আসা নদী এখন কন্টেন্ট,
তার ঢেউয়ের গতিতে বিক্রি হয় চা-কাপের বিপ্লব।
রাষ্ট্র-সংকটের উপস্থিতি আজ ইউসুফ শরীফের
প্রান্তিক জনের গল্প-এর মতো পৌনঃপুনিক,
অথচ থেমে গেছে ব্যক্তি-
মানুষের স্বরূপ অন্বেষার প্রয়াস—
শুধু বিকৃত নস্টালজিয়ার আতঙ্ক জমে দেয়ালে।
হেলালী শুধু ফেসবুক পোস্ট দেখে, কমেন্ট করে না—
সভ্যতার হাতে মানবিক কবিতা তুলে দিতে চায়।
তবু কোনো অদৃশ্য কবি এক কোণে বসে লেখে—
নীরবতাও একধরনের প্রতিবাদ,
যদি তা গর্জনের মতো গভীর হয়…।