ধৈর্য্য ধারনের দোয়া : رَبَّنَآ أَفۡرِغۡ عَلَيۡنَا صَبۡرًا وَتَوَفَّنَا مُسۡلِمِينَ
উচ্চারন : রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাও ওয়াতা ওয়াফফানা মুসলিমীন।
বাংলা অর্থ : হে আমার রব, কঠিন পরীক্ষায় আপনি আমাদের ধৈর্য্য ধারন করার শক্তি দান করুন, এবং আপনার অনুগত বান্দা হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান করুন।
(সুরা আরাফ – আয়াত – ১২৬)
বিপদে পতিত হলে আমরা অধৈর্য্য হয়ে যাই। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে আমরা ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করি। ইসলাম ধর্মে যেটা সম্পূর্ন নিষেধ। অধৈর্য্য না হয়ে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাই একজন মুমিনের কাজ। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এটাই পছন্দ করে থাকেন।
বিপদ, দুঃখ, দুর্দশা সেতো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আর সেখান থেকেই তো এর আগমন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক বিপদ দিয়ে থাকেন তিনিই তা সমাধানকারী। বিপদ দিয়ে তিনি তার বান্দার ঈমানী পরীক্ষা নিয়ে থোকেন। অধৈর্য্য হয়ে যাওয়া মানেই বিপদথগামী হয়ে যাওয়া এবং আল্লার উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলা। যা একজন মুমিনের কাজ হতে পারেনা।
মুমিনের কাজ হচ্ছে বিপদে ধৈর্য্য ধারন করা। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। তিনিই যে সমাধান কারী তা মেনে সকল কিছু তার উপরে ছেড়ে দেয়াই একজন মুমিনের কাজ।
আসুন আমরা বিপদে, কষ্টে বেশী বেশী উপরোক্ত আমলটি করি আর আল্লাহ জাল্লা শানুহু’র কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।