অটোরিকশা বনাম ঢাকা শহর, শুনতে বেশ হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্য। রাজধানী ঢাকা শহরের সাথে প্রতি নিয়ত পাল্লা দিয়ে এগুচ্ছে রিকশা-অটোরিকশা। ঢাকার চেহারা ভুষন বিশাল বিশাল অট্রালিকা, মেট্রোরেল, যেমন ভাবে পরিবর্ধন করে দিচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবেই সেই সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিচ্ছে রিকশা-অটোরিকশাগুলো।
অটোরিকশা বনাম ঢাকা শহর
দিন যত যাচ্ছে অটোরিকশার সংখ্যা ততোই বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে যানজট। চলার অযোগ্য হচ্ছে ঢাকার রাস্তাঘাট, ফুটপাত। বিশৃঙ্খলা বাড়ছে গণপরিবহনে। একটি দেশের রাজধানী আজ রিকশা-অটোরিকশার মতো এক যানের কাছে জিম্মি। এই রিকশা-অটোরিকশা দৌরাত্ম্য রোধে সরকার হচ্ছে কুপোকাত।
কেন? এর উত্তর সকলেই জানি। শুধু জানেনা সরকার। জানেনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। যদি তাই না হতো, তাহলে দেশের একটি বিশাল পট পরিবর্তনের পরে এই রিকশা-অটোরিকশা বা ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ হয়ে যেত। মেট্রোরেলের মতো স্পীড দিয়ে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে দাপড়ে বেড়াতো না। তা হয় নাই, হলে হয়তো ভালো হতো। ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে চলে মানুষ শান্তি পেতো।
আমার একান্তই অভিমত এই যে, এই জনগোষ্টি ঢাকার বাইরেও এই কর্ম সাধন করে জীবকিা নির্বাহ করতে পারে। জীবকিা নির্বাহের জন্যে যে ঢাকাই আসতে হবে, এমনটা মুখ্য বিষয় নয়। তাহলে ঢাকার মাথা থেকে জনগোষ্টির (+) বিশাল একটি বোঝার ভার কমে যেত। জীবকিা নির্বাহের রাজধানী যে ঢাকা, এই মন মানসিকতাও দূর হয়ে যেত।
আমাদের দেশে সরকার যায়, সরকার আসে, নেতা যায়, নেতা আসে- বহাল তবিয়তে থাকে সকল ধরনের দূর্নীতি। পরিবর্তন হয় শুধু হাত। এই নেতা থেকে অমুক নেতা। তমুক থেকে অমুক.. এই যা..
এজন্য বলছি যে, এই রিকশা বা অটোরিকশা বানিজ্যে জড়িত (যারা পেছেন থেকে কাঠি নাড়ে) এক শ্রেনীর নেতা গোছের লোক। যারা সারাদিন পরে এসে হিসেবের খাতা খুলে বসে। যদিও বা কেউ ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকে, তাহলে বড় অংকের একটি চাঁদা গ্রহনের বাক্সের (দানবক্স) হা করা মুখ খুলে বসে। কেননা এই রিকশা-অটোরিকশা বীরদর্পে ঢাকা শহরে দাপড়ে বেড়ানোর একমাত্র ক্ষমতা তাদের হাতে। আইন শৃঙ্খলা তাদের হতে, মানুষের প্রতিবাদ রুখতে তারা বীর সেনানী।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মিছিল মিটিং এর হাতিয়ার (সংখ্যায় বেশীরভাগ) আবার এইসব রিকশা-অটোরিকশার চালকেরা। রাস্তার টং দোকানের (জবর দখলকারী) ব্যবসায়ী তারা, বস্তি বানিজ্যের সম্মুখ যোদ্ধাও তারা।
সোনায় সোহাগা! একে অন্যের সাথে। চলছে.. হয়তো এভাবেই চলবে।
এক সময় হয়তো সম্পূর্নরুপে রাজধানী ঢাকা হেরে যাবে এইসব রিকশা-অটোরিকশার দৌঁড়ে বেড়ানোর খেলায়।

পদ্মা-মেঘনা,যমুনা, আমার ঠিকানা। ভালোবাসি দেশকে। দেশের মাটি, মানুষকে। কষ্ট পাই দেশের মাটি ও মানুষ রক্তাক্ত হলে। আর তাই লিখার চেষ্টা করি।
সত্যি বলেছেন। দেখার নাই কেউ।
পোষ্টটি ভালো লেগেছে। ঢাকা শহরের রিকশা-অটোরিকশার পরিসংখ্যান উল্লেখ করলে ভালো হতো। আমি অনলাইন থেকে প্রাপ্ত একটি পরিসংখ্যান জানিয়ে দিচ্ছি। ঢাকা শহরে রিকশার সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ২০১৯ সালে এক জরিপে ছিলো ১৩ লাখ। তার মানে এই কয় বছরে যা বেড়েছে সবি ব্যাটারি চালিত রিকশা অর্থাৎ প্রায় ৭ লাখ ব্যাটারি চালিত রিকশা। পরিসংখ্যানটি অনেকের উপকারে আসবে।