
প্রেমের গোধূলি নামায় কনছখাই
প্রেমের গোধূলি নামায় কনছখাই
সবুজে সবুজে ঢেউ তোলে ধান,
হাওরের বুকে বাজে প্রকৃতির তান—
কনছখাই মাঠে গোধূলির আলো,
ঝরে পড়ে যেন সোনারই ছায়ালো।
সূর্যটা ঢলে পড়ে খরার আঁচলে,
ধানচালের গন্ধ বকুলের কোঁচলে।
মাঠ যেন কাব্য—মাটির অলিন্দ,
হাঁসের ডানায় আঁকে জলছন্দ।
গরুর গাড়ির চাকার ঘূর্ণন,
শ্রান্ত বিকেলের নিঃশব্দ বর্ণন—
মেঠোপথ ধরে শ্রমজীবী গান,
জীবনের রোদ, বৃষ্টি আর প্রাণ।
তৃণের ভিতরেও ঢেউ তোলে প্রেম,
প্রকৃতি পড়ে আজ হৃদয়ের টেম—
চাষার কপালে রৌদ্রের লিখন,
তবু তার চোখে থাকে চিরচেনা গঠন।
টেংরাগ্যাস ফিল্ডে জাগে মনোরথ,
এখনও জল-মাটি ফেটে বেরোয় বুদবুদ।
ভূপৃষ্ঠ জুড়ে আগুনের গল্প,
তবু প্রেম ভাসে জল-চেতনায় অল্প।
কবি আলফাজ’র ছড়ার মধুর গন্ধ,
উড়ে চলে এখনো হাওরের ছন্দ।
তার লেখায় জ্বলে গ্রামীণ দীপ্তি,
বুকের ভেতর জাগায় চেতনার নিত্য।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জমেছে ধুলোয়,
এই মাঠে খেলা করে রক্তের ছায়া—
স্বাধীন সূর্য যে উঠেছিল একদিন,
আজও পড়ে তার রশ্মি হাওরের কিন্।
ধান যেন সোনা, সময়ের ধূপ,
জীবন নামক চণ্ডালস্নানের রূপ।
প্রত্যাশা ঝরে গোধূলির হিমে,
হাওর বলে— তুমিও নির্মাতার ভূমি।
গোধূলি রঙে রাঙে অন্তর্গান,
এই মাঠ যেন জনমের প্রমাণ—
প্রেম ও পরিশ্রম—এই তো পথ,
এই তো জীবন, এই তো রথ…।