
ফায়ারওয়াল ভাঙা উপমা ও নিঃশব্দতার প্রতিসরণ
(নিবেদিত : কবি দাউদ হায়দার)
– মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী
বিস্মৃতির ট্র্যাশ ফোল্ডারে রেখে যাও সেই অনুচ্চার্য নীরবতা—
যা শব্দের আগুনে পোড়ে না,
কেবল চুপিচুপি পুষে রাখে ক্ষমাহীন অন্তর্গত ক্ষয়।
দাউদের কলম ছিল দিগন্তছোঁয়া ড্রোন,
প্রতিটি বাক্য যেন জ্বলন্ত মেটাফোরের ককটেল—
যেখানে ‘বিশ্বাস’ মানে ছিল এক ধূসর বিস্ফোরণ,
এবং ঈশ্বর ছিল অপার এক অনুপস্থিতি,
নামহীন আলোয় মোড়ানো প্রতিসরণ।
নির্জন আলোর পথে হাঁটতেন এই দ্রোহী কণ্ঠ—
যার প্রতিটি উচ্চারণ ছিল ব্যাকরণ-বহির্ভূত বৈদ্যুতিক স্নায়ু,
বোধের ফায়ারওয়াল ভেদ করে গেছেন কবি—
“আমার ঈশ্বর পিপাসার্ত, ক্ষমা চায় না!”
এই পঙ্ক্তির তাপে গলে যায় ইশারার আয়না,
বিচূর্ণ হয় অলীক আস্থার ক্রোম রিম।
তাঁর কবিতা ছিল পোস্টমডার্ন টেরোর—
যেখানে কল্পনা নয়, অবচেতনের ফাঁকফোকরে
উপমা ও প্রতিবাদ একই গ্রন্থিতে শ্বাস নেয়।
এখনো, নির্জন নিঃশব্দতায়
জেগে থাকে সেই প্রতিসরণ—
ভবিষ্যতের কানে কানে বলে যায়:
নৈঃশব্দ্য মানেই অনুপ্রবেশ নয়,
বরং একপ্রকার প্রতিরোধ…।
আরো পড়ুন:
বাঁচতে চাই একসাথে, শুদ্ধস্বরে – Ataulhakim Arif
রক্তরঞ্জিত বালুকায় – Ataulhakim Arif