আগষ্ট,২০২৪ স্বাধীনতায় আমাদের মতো সাধারন জনগনের স্বপ্নের আকাশে ঝিলমিল করে জেগে উঠেছিল রংগিন এক টুকরো আশার আলো। কিছু হবে নতুন করে, আশায় বেঁধেছিলাম বুক। সব আশাই আজ গুড়েবালি..
স্বাধীনতার পরে একটি করে দিন যতোই যাচ্ছে, ততোই আশাহত হচ্ছি। ভেংগে যাচ্ছে বুক, নিরাশা যেন জাপটে ধরছে জাতিকে।
একটা সময় আতংকিত ছিলাম, অতিত ফ্যাসিবাদি সরকারের কর্মকান্ডে। আমাদের বীর ছেলেরা সেই ভয়ের কালো চাদর সরিয়ে চোখে ঝলমলে রঙ্গীন চাদড় জড়িয়ে দিলো। এখন সেই রঙ্গীন চাদরও যেনো চোখ দুটোই উপড়ে ফেলতে চাইছে।
কি ছিলো তাহলে আগষ্টের সেই স্বাধীনতায়? তবে কি সেই রক্ত ঝড়ার পেছনে ছিলো কোনো অশুভ শকুনের দৃষ্টিপাত। নাকি তা মুষ্টিমেয় কারো (?) সাজানো চড়ুইভাতি।
বড়ই আফশোসের সাথে জানতে ইচ্ছে হয়, দেশ কি তাহলে আবার কোনো অন্ধকারের অতলান্তে তলিয়ে যাচ্ছে?
বর্তমান ক্ষমতার আসনে উপবিষ্টরা কি তাহলে হেরে যাচ্ছেন ? তাদের মেধা দূরদর্শিতা কি রাজনৈতিক ব্যক্তি মননের মেধার কাছে পরাজিত হচ্ছে ?
যদি কখনো তাই হয়, অতিতের ফ্যাসিবাদ সরকার ও তাদের দোশররা (অবৈধভাবে অর্জিত) অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ঠিকই (রাজনীতিতে যা কোনো ব্যাপারই নয়), এবং তারা বেঁচে আছেন (কারো না কারো শেল্টারে), তারা আবার ফিরে আসবেন নতুনরুপে, নতুন আংগিকে, এই সরকার বা জাতির কারোর পক্ষেই আর কিছু করার থাকবে না। কিন্তু এখনকার সরকারের এইসব (উপদেষ্টাদের) কি অবস্থা হবে, তা একমাত্র উপর ওয়ালাই জানেন। আর এই বিপ্লবের সেনানিদের জাতিইবা কিভাবে ভবিষ্যতে গ্রহন করবে, তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।
কেবিনেটে পরিবর্তন হচ্ছে হবে, এটা স্বাভাবিক। এই ক্যাবিনেটে একের পর এক কিসব (মালের) যে আবির্ভাব হচ্ছে, তা দেখে সাধারন জনতা সত্যিই আজ আশাহত। অনেকের মুখ ফসকে বের হয়ে আসছে সব আশাই আজ গুড়েবালি । এমন ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মাঝেই হয়তো জনতা ধিক্কার দিতে শুরু করবে ক্ষমতার আসনে অধিষ্টিত এই ইউনুস সরকারকে। যা আমাকে খুবি পিড়া দিবে।
কেননা, আমার কলম কখনোই ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিলোনা, অন্যায়ের পক্ষ্যে ছিলোনা, ছিলো স্বাধীনতার পক্ষ্যে, নতুন দেশ গড়ার লক্ষে, স্বাধীনতাকামী হাজারও বীর জনতার পক্ষে..
পরিশেষে, আগষ্ট,২০২৪ এ সকল শহীদদের রুহের আত্বার শান্তি কামনায়, আজকের মতো বিদায়..