মুর্খের অকবিতা..

মুর্খের অকবিতা হচ্ছে মুর্খের বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকপাত। العلماء ورثةً للأنبياء “আল উলামা ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া” আলেম ওলামারা হচ্ছেন নবী-রাসূলদের ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী। আমরা মুসলমান হিসেবে যেসব আলেম ওলামাদের দেখানো পথে চলবো, আজ সেইসব আলেম ওলামারাই দলে দলে বিভক্ত। তাদের দু’একটি বৈশিষ্ট্যের উদাহরন নিম্নরুপ :

আলেমদের দ্বন্দ্ব

এই আলেমে ঐ আলেমে
চলছে ভিষন দ্বন্ধ,
অভিনয়ে সেরা সবাই
দেখে পাই আনন্দ-
ছন্দে ছন্দে বলবো তাদের
সকল ভালো মন্দ।

অমুক বলেএইটা হারাম
আমি বলি না,
এটা হলো বিদায়াত
সে জানে না,

দাঁড়ি টুপি নিয়েও অনেক
আলেম রুপি যালেম,
আমার মতো জ্ঞানি হলেই
হবে সে আলেম।

কোরান হাদিস কয় খান পড়ছে-
আমার থেকে বেশি ?
অবশ্যই না, কোরান, হাদিস পড়ছি আমি
সকাল দুপুর নিশি।

ওয়াজ করে টাকা নেয় সে,
ধর্ম বেঁচে খায়,
আমি ভাই নেইনা টাকা
চলি হাদিয়ায়।

হজ উমরার ক্ষেপ মারি
মাসের পর মাস,
অর্থ আসে এভাবেই
নাই কোনো আর কাজ।

আমার কন্ঠ মিষ্টি মধুর
গাইতে পারি গানও,
আমার মতো ফুটবল খেলোয়ার
আছে নি আর কোন্ও।

আমি হলাম অল রাউন্ডার,
আলেম সমাজের মনি,
কোরান, হাদিস, ইজমা কিয়াস
আমিই বেশি জানি।

হারাম হালাল জানতে হলে আমার চ্যানেলে,
লেগে থাকুন, সারাক্ষন ইমানদার হলে।

ঐ চ্যানেলে ঢুকবেন্না
আমার আদেশ,
ইমান হারা হয়ে যাবেন
জিবন হবে শেষ।

আজাহারি আর মাদানি
ডিগ্রি কেনা যায়,
ঐসবে আমি যাইনি রে ভাই
চলি প্রতিভায়।

জান্নাত পাওয়া খুবই সহজ
একদমই সোজা,
সময় সুযোগ হইলে তবে
কইরেন নামাজ রোজা।

আমি থাকবো আপনার সাথে
রোজ হাশরের মাঠে,
অনুরোধ করবো খোদার কাছে
জান্নাত যাবে জুটে।

নেক সরকার দেশ চালায়
এমপি মন্ত্রীও আছে,
রাজনিতীর কি দরকার?
আমিতো তাদের পাছে।

সুদ ঘুস তাদের বিষয়
ন্যায়ের কথা বলে-
রোশানলে পড়ে তাদের
যাবো কোনো জেলে।

এইতো বেশ ভালো আছি,
দোয়া দুরুদ বেঁচে,
মরতে আমি চাইনা ভাই
জেলখানায় পঁচে।


আমি মুর্খ আমার মাথায় আসেনা এসব বিভক্তির কারন। আল্লাহ্ আমাদের এইসব দলাদলি থেকে মুক্তি দিন। আমাদের অন্তরের দৃষ্টিশক্তি মজবুত করে দিন। আমাদের অন্তরের জ্ঞান বাড়িয়ে দিন – আমরা এক নবীর উম্মত হয়ে, একটি দলের মাঝেই যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে পারি।