একটি পথভ্রষ্ট সম্প্রদায় – শিয়া

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর । যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। শান্তি বর্ষিত হোক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। আর দয়া বর্ষিত হোক তাঁর শ্রেষ্ঠ উম্মতদের উপর। আমীন।

এখানে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে চলছে, তা আমাদের কারো ভুল সংশোধনে আবার কারো শত্রু চেনায় সাহায্য করবে। ইন শা আল্লাহ।

প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পূর্বে যখন বুশ নামক গাদ্দারকে চিনতে পেরেছি, তখন থেকে আমেরিকার (প্রশাসনের) প্রতি ঘৃণা জন্মাতে শুরু করেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় যারা আমেরিকার বিরোধিতা করে তাদেরকে সমর্থন দিতে কার্পণ্য হয় না। কিন্তু আসলে সমাধান কি এখানেই ? না। বরং এতে হীতের বিপরীত হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আমরা যখন কারো প্রতি শত্রুতা পোষণ করি, তখন ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে ভালো ভাবতে শুরু করি। আর এটা আমাদের প্রবৃত্তিগত কারণেই হয়ে থাকে। কিন্তু যতক্ষণে জানতে পারবো দ্বিতীয় ব্যক্তি আসলে আমার আরো বড় শত্রু তখন আর বুঝতে ভুল হবে না।

হ্যাঁ। ঠিক এমনটাই। আমাদের (মুসলিমদের) নিকট অন্ততপক্ষে এতটুকু স্পষ্ট যে আমেরিকা মুসলিমের শত্রু হিসেবে নির্ধারণ করেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন মুসলিম শাসিত দেশকে তারা গণতন্ত্রের নামে মূর্খতার রাজনীতি চালু করে মুসলিমদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করেছে। এরই ফলশ্রুতিতে মুসলিমরা আজ দুর্বল হয়ে পড়েছে, নিজেদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করছে। অর্থাৎ আমেরিকা ইসলামের দুশমন। কিন্তু আমেরিকার বিরুদ্ধে যারা বড় বড় হুমকি দেয়, তাদের সবাই কি সঠিক? স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বেশিরভাগ সঠিক হলেও, কিছু ব্যতিক্রম থেকেই যায়। আর এই ব্যতিক্রমদের মধ্যে একটি সম্প্রদায় হল- ”শিয়া সম্প্রদায়” (বর্তমান ইরান শাসিত এলাকা তার অন্যতম)। আমরা যারা ইরানের সেই জ্বালাময়ী আমেরিকা বিরোধী হুমকির ছলনায় আচ্ছাদিত, তাদের জন্য এ কথা হজম করা একটু কঠিনই বটে। কিন্তু সত্য যে আবৃত থাকে না, তাই ইরান নামক শিয়া শাসিত দেশটাকে আমাদের বন্ধু হিসেবে ভাবার কোনো সুযোগই থাকলোনা।

এছাড়া সিরিয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। তবে সেখানের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের গণমাধ্যম ঠিক উল্টোটাই বেশি ফোকাস করে। অর্থাৎ তারা অধিকারকে অন্যায়, আর জুলুমকে শাসন হিসেবে উপস্হাপন করে। সেখানে হাজার হাজার মুসলিম নারী, পুরুষ, শিশু নির্যাতিত হয়েছে সরকার বাহিনীদের (শিয়াদের) হাতে। অর্থাৎ সিরিয়ার শিয়া সরকার মুসলিমদের অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। যারই প্রেক্ষিতে মুসলিমরা ‘বাশার আল আসাদ’ (সিরিয়ান সরকার) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং করছে। আর এই বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়েছে ইরান।

এছাড়া ইরাকের অতীত পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি অবহিত। সেখানে আজও অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে হ্যাঁ, এখন অনেকটা স্পষ্ট। সেই সময় ইরান আমেরিকার সাথে সরাসরি একত্রিত না হলেও সমর্থন দিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে পরাজিত করেছিল। তবে এখন আমেরিকার সাথে ইরান জোট গঠন করে লড়তে যাচ্ছে সুন্নীদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ তাদের লক্ষ্য মুসলিম নিধন, মুসলিমদের ক্ষমতাচ্যুত।

উপরের ছোট ছোট ঘটনাগুলোতে দেখতে পেরেছেন যে, আমি মুসলিমদের সাথে শিয়াদের শত্রুতার কথা বলতে চেষ্টা করেছি । অর্থাৎ মুসলিম আর শিয়া দুটি আলাদা বিষয়। যেখানে দু’জনের বিশ্বাস ও লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এজন্য প্রয়োজন শিয়াদের ধর্ম বিশ্বাস কেমন তা জেনে নেওয়াঃ

“১. শিয়াদের একদল বিশ্বাস করে, আলী (রা.) ই প্রকৃত নবী ছিলেন কিন্তু ভুলক্রমে জীবরাঈল (আঃ) মুহাম্মদ (সা.) এর নিকট ওহী নিয়ে চলে গেছেন।
২. শিয়ারা ইসলামের কালেমায় সন্তুষ্টি নয়, তারা সাথে যোগ করে বলে “আলী ওয়ালীউল্লাহ অছী রাসূলুল্লাহ”।
৩. তারা মনে করে তাদের ঈমামগণ জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারণ করে দিতে পারে।
৪. কোরআন বিকৃত হয়েছে বলে বিশ্বাস করে। (নাউজুবিল্লাহ)
৫. এরা আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.) এর প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে।
৬. এরা আলী (রা.) ও তাদের ঈমামদের কবর তাওয়াফকে হজ্জ মনে করে।
৭. এরা রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রীদেরকে অপবাদ দেয়।
৮. নারীদের সমকামীতাকে বৈধ মনে করে।”

(তথ্য সংগ্রহেঃ মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার আততুনসাবী)
এরকম মারাত্মক বিশ্বাস নিয়ে লালিত হওয়া “শিয়া সম্প্রদায়” মুসলিম হওয়ার কোন দাবি রাখে??
অবশ্যই না । তাই ভুল বুঝে যারা শিয়াদের নিয়ে ভাতৃত্ব স্হাপন করতে চান। তারা সত্যিই অনেক বোকামী করছেন । তাই এখনই উচিত শিয়াদের শত্রু হিসেবেই জানা। তাদের থেকে ভালো কিছু আশা না করা। এবং তাদেরকে সাহায্য করার মানসিকতা ত্যাগ করা। (আল্লাহ ভালো জানেন)। আমীন।
বিঃদ্রঃ শিয়া-রাফেজীদের ভ্রাণ্ত আক্বিদা সম্পর্কে আরো জানতে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার (রহ.) ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’ বইটি পড়তে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *