
মানুষ, তারও ওপরে
এই মুহূর্তে সীমান্তের ওপারে গোলাবর্ষণ চলছে,
প্রতিদিনের মতোই—
স্বরবর্ণ ছিন্ন করে আকাশের বুক চিরে
ছুটে আসে যুদ্ধবিমানের গর্জন।
সংবাদপত্র লেখে: “Retaliation is necessary”,
একটি রাষ্ট্র বলছে—“সার্জিক্যাল”,
অন্যটি বলছে—“প্রতিরক্ষা”।
তবে হাশিমপুরের যে শিশুটি আজ তার বাবাকে খুঁজে ফিরছে,
তার কাছে কোনো রাষ্ট্রই উত্তর নয়।
পাকিস্তানের বালাকোটে আজ
একটি স্কুলঘরে কেবল শবদেহ,
আর ভারতের কুপওয়ারায়
একটি মা ঘুম পাড়ায় মৃত সন্তানের নাম জপে।
এই কি ধর্ম? এই কি কাঁটাতারের দর্প?
আমরা কি এখনো বুঝিনি—
ধর্ম নয়, জাতীয়তা নয়—
মানুষের রক্তের রং সর্বত্র লালই?
যেখানে মিনারে আজান থেমে যায় আতঙ্কে,
আর মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি ঢেকে যায় গোলার শব্দে—
সেখানে কেউ কি বলতে পারে—
সত্যের দখল কার?
পলিটিক্যাল টক শো-র অতিথিরা বলছেন,
“প্রয়োজনে আরও অভিযান চালাতে হবে।”
তারা বোঝেন না—
ড্রোনের ক্যামেরায় ধরা পড়া আগুন
একটি ছিন্ন হৃদয়ের ছবি বহন করে।
আমরা বলতে এসেছি—
এই কবিতা কোনো নিরপেক্ষতা নয়,
এ এক সক্রিয় পক্ষগ্রহণ—
মানবতার পক্ষে।
শান্তি এখন এক রাজনৈতিক লুজার শব্দ নয়—
এখন, এই সময়েই,
এই কবিতা চাই রেজিস্ট্যান্স হোক
পতাকার ওপরে মানুষের মুখ চেনার ডাক।
আমি বলি—
রাষ্ট্রেরা নিজেদের Update করুক,
কিন্তু মানুষ হোক Version-less—
একটি নামহীন মুখ,
যার চোখে কেবল ভালোবাসা,
স্মৃতি, প্রতিবাদ—
আর একটি জিজ্ঞাসা:
“এই শিশুটিকে কেন মারলে?”
আমরা চাই, কেউ আর না বলুক—
“পূর্বপুরুষেরা যুদ্ধ করেছিল”—
বরং বলুক—
“তারা ভালোবেসেছিল, প্রতিরোধ করেছিল
শুধু মানুষ হয়ে।”