স্মৃতিঘুমে বরিষণ
বৃষ্টির পাহাড়ে চড়ে আমার বিমর্ষ বিকেল
প্রিয়তমা তুমি এক রংধনুর সলাজ জলকেলি
মেঘের পৃষ্ঠায় খোদিত আমার নিহত জ্যোছনা
ঝরে পড়ে জরাময় সন্দেহের ভাগাড়ে কেবলি!
চোখ তুলে তাকিয়ে দেখ এ জলান্ধ সমীর
বৈরাগ্যের নির্যাসে চড়ায় করুণ আলপনা
নারীমনা কোন এক বিমূর্ত নদী তোমার চাহনীতে
তুলে দেয় প্রতিঘাতের বন্দরে নরম বনিবনা…
মেঘের কুন্তলে ভাঁজ করে রাখা সব বিচ্যুত দিন
তোমার নরম কোলে বুঝি খুঁজেছে তার মন
আলেয়ার দেশ থেকে এসেছে যে মায়ার নাগীন
স্মৃতির কার্নিশে উড়ে তারা একাকী বকের মতন;
স্মৃতিঘুমে বরিষণ
ভাবের নির্জনতায় পুড়ে তুমিও হয়ে গেছ ঘুড়ি
কোন এক স্বপ্নাবিষ্ট ছায়ার করতলের তাপে
এই ঝরঝর বরিষণে আমিও এক স্মৃতিঘুমে পুড়ি
চেতনার মেঠোপথে হারিয়ে যাবার শেষ ধাপে।
উঠোনের ভেজা ছায়ায় তোমার শৈশব ভিজে
আমিও নিরবতার তারস্বরে ব্যঞ্জনায় ভিজি
সময়ের দূরতম আপাতন বিন্দু ধরে নিজে
সরেছো শুধুই কাছের আসার ছলে,পলতকা ঝিঁঝি।
এই বৃষ্টিনিঝুম দুপুরের রিমঝিম একাগ্রতা জানে
কতটা উজার ভিটায় অনুবাদ করি এই মেঘমেদুরতা
কালের নিবর পথে থমকে দাঁড়ায় যদি জীবনের মানে
পরাজয় হয়ে উঠে অমোঘ প্রমত্ততা, ঝরে যায় কথা।
বিজ্ঞাপণ
