
শব্দের গর্ভে জন্মায় আগুন
জন্ম নিল এক বিকল সভ্যতা,
তবু আকাশ কাঁদেনি।
নাভি কাটা হয়নি চিন্তার—
তাই শেকড়হীন হেঁটে বেড়ায় মৃত্যু।
আসলে
সভ্যতার আকিকা হয়নি এখনো,
তাই রক্তই তার উৎসব।
ইটের নিচে পাথর,
পাথরের নিচে রক্ত।
উঁচু ভবনের ছায়ায়
বাঁশি বাজায় আগুন।
ডিজিটাল বিলবোর্ডে বিপ্লবের মুখ—
কিন্তু নিচে পড়ে থাকে অভুক্ত শিশু।
মঞ্চে বক্তৃতা, পতাকায় আগুন,
টেলিপ্রম্পটারে লেখা দেশপ্রেম।
আয়নায় তাকিয়ে দেখি—
চেনা এক মুখ,
যার চোখে আমি নেই,
যার হাসি ধারালো।
ফিল্টারচাপা মুখে প্রেমের ক্যাপশন,
পেছনে নিঃসঙ্গ আত্মহত্যা।
নকল পারফিউমের গন্ধে
ভরে আছে শহর।
হৃদয়ের গলিতে
জ্বলে শুধু নকল আলো।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তালি,
তবু নদীর জলে বিষ।
কোনো পতাকার নিচে
মরে গেল আমার নাম।
রক্তের বৃষ্টিতে
ফুল ফোটে না।
ভ্রূণের মতো গোপন
একটি বিস্ফোরণ।
জন্মের আগেই
নির্মাণ হয় মৃত্যু।
আদিম আঁচড় এখন
পিক্সেল-বন্দি।
নৃত্য হারিয়েছে
নাভিমূলে ছন্দ।
একটি বুকে বাসা বাঁধে
নিঃশব্দ পাখি।
যার ডানায় লেখা
বেঁচে থাকার মানে।
নিজের শিরা ছিঁড়ে
আমি লিখি নাম।
ভুল বানানে যে প্রেম
ঠিক ছিল হৃদয়ে।
দুটো চোখ নিয়ে
অন্ধ হেঁটে চলে।
তবু কান্না জানে,
তবু স্বপ্ন দেখে।
যেখানে শব্দ জাগে, সেখানে নীরবতাও প্রতিবাদ হয়ে ওঠে…।