কেউ এখন আর কারো কথা শুনতে চায় না, সুখ, দুখ, ভালো, মন্দ – কিছুই না। সবাই শুধু বলতে চায়। বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে।
হয়তো আপনি কারো সম্মুখে আপনার একটি সুখের কথা বলার জন্য হা করেছেন, ঐ হা করা পর্যন্তই আপনার সারা। দেখবেন আপনার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে তার নিজের খালাতো ভাইয়ের মামাতো ভাইয়ের শালাতো পোলার সুখের কথা বলা শুরু করে দিবে। যে বুক ভরা আশা নিয়ে আপনি কথার ঝুড়ি খুলতে চেয়েছিলেন, আপনার কথার ঝুড়ি ঝেড়ে ফেলে তার কথার ঝুড়ির মুখ খুলে বসলেন তিনি।
আপনি হয়তো আপনার কষ্টের ভাগ কারো সাথে শেয়ার করে একটু হালকা হতে চেয়েছেন ; সেক্ষেত্রেও দেখবেন, তার নিজের কষ্টগুলো আপনার কাধে চড়িয়ে আপনাকে গাধা বানিয়ে কষ্টের ছামানগুলো বহাতে শুরু করে দিয়েছে।
আমরা কেমন যেন আত্বকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি দিনের পর দিন। আমি, আমি আর আমির নদীতে সাতরাচ্ছি সারাক্ষন।
কেউ কারো কথা মন দিয়ে শুনি না বলেই একে অন্যের সাথে এহেন ব্যবহার করছি। বিষয়টা এমন যে, একজন ডমিনেটেড হওয়া ব্যক্তি সব সময় আরেকজনকে ডমিনেট করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে থাকে।
এমন হতে থাকলে এক সময় কেউই শুনবেনা কারো কথা। যার যার কথাগুলো তার নিজের গহবরে থেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে।
তাই আসুন, একজনের কথা মন দিয়ে শুনি। শ্রোতার সুখ দু:খের অনুভুতি গুলো হৃদয়ংগম করি। ভার্চুয়াল জগত নয়, সেই পুর্বেকার বাস্তব জগতে ফিরে যাই।

পদ্মা-মেঘনা,যমুনা, আমার ঠিকানা। ভালোবাসি দেশকে। দেশের মাটি, মানুষকে। কষ্ট পাই দেশের মাটি ও মানুষ রক্তাক্ত হলে। আর তাই লিখার চেষ্টা করি।