এফবি সেলিব্রেটি ইদু মিয়া আমাদের সমাজেরই একজন। যে কখনো স্কুলের বারান্দায় পর্যন্ত পা দেয় নাই। সেই ইদু মিয়া ফেসবুকের বদৌলতে এখন একজন সেলিব্রেটি। সে একজন কন্টেন্ট রাইটার। সে মানুষকে জ্ঞান দেয়। তার পোষ্টের ভিউ বাড়ে। মানুষ হাসে। কিছু বুঝুক আর নাই বুঝুক, হোক তার তথ্য মিথ্যা কিংবা সত্য, হোক তা প্লাজিক, বা না জেনেই কারো মুখ থেকে শ্রবন করা- সেই পোষ্ট ভাইরাও (শওকতবিডির ভাষায় ভাইরালের বহুবচন) হয়। উল্টা পাল্টা কমেন্টের পরেও অন্যরা তা জনে জনে শেয়ার করে। আজকের এই কবিতা সেই ইদু মিয়ার জন্যেই উৎসর্গ করা হলো :
যা বলা উচিত নয়, তাই বলছি আজ
যা করা অনুচিত, করছি সেই কাজ।
যার মুখে যা সাজেনা, তার মুখে সেই বানি,
সোশাল মিডিয়ার বদৌলতে, সকলেই জ্ঞানি..
আসুন তা-ই আজকে জানি..
১. এফবি সেলিব্রেটি ইদু মিয়া
ইদু মিয়ার যদু চ্যানেল চলছে বেশ ভালো,
পাছার উপর কাপড় তুলে, দিচ্ছে জ্ঞানের আলো।
২০০k ভিউ তার, রঙ্গ রসে ভরা,
আফসোস, তার জিবনে নাইতো লেখা-পড়া,
নাম লিখতে জানলে তারে কেউ কি খুজে পেতো ?
সচিব, এমপি, মন্ত্রি নয় সে রাষ্ট্রপতি হতো।
মেধার ভারে ইদু মিয়া দেখে শর্ষে ফুল,
এই সময়ে সেই রাইট, বাকি সবাই ভুল।
ইদু মিয়া, কদু বেচে এমবি ঢুকায় ফোনে,
একটা সেকেন্ড এফবি ছাড়া, থাকে ক্যামনে?
বেচতে হবে কদুর সাথে, অল্প কিছু জ্ঞান
একটা পোষ্ট না করলে আজ, থাকে না তার মান।
ইদু মিয়া লিখবে আজ কদুর গুনাগুন,
কদু দিয়ে তৈরি হয়-পান খাওয়ার চুন,
কদু দিয়ে যায় বানানো- কাচ্চি বিরিয়ানি,
কদুর মধ্যে সব ভিটামিন, আমি ইদুই জানি।
কদু দিয়ে যায় বানানো-আপেলের জুস,
কদুর ব্যবসায় নামি আজ, হলিউডের ক্রুজ।
কদুর আচার ভারি মজা চাইনিজরা খায়,
কদুর তেল মাখলে মাথায় জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
এই গুন, সেই গুন, ইদু মিয়া শেখায়,
ভিউ বারে তার পোষ্টের লাইক ইমোজি পায়।
মুরগি ওয়ালা, মাছ ওয়ালা, ফল বিক্রেতা মিলে,
তার পোষ্টে লাইক মারে সবাই দলে দলে।
বাহা বাহা রিয়েকশন দেয় কদুর গুনাগুনে
ইদু মিয়া আপ্লুত হয়, হাসে মনে মনে।
হায়রে আবাল, বোকা চোদা, মুর্খের দল
মনে মনে গালি দেয়, বলে বুঝলিনা আমার ছল-
এফবিতে আজ যা মেখে দেই, সবাই তা-ই খায়,
হবোই এবার বিশ্ব সেরা, কে আমারে পায়।
দিন যাচ্ছে, এফবি সেলিব্রেটি ইদু মিয়া ‘দের সংখ্যা সমাজে বেড়েই যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে তাদের দৌরাত্ন্য। নেট দুনিয়ায় জয় জয়কার এই ইদু মিয়াদের। এদের অহমিকার স্টিম রোলারে পিষ্ট হচ্ছে মেধা.. ধন্যবাদ ফেসবুককে, ধন্যবাদ Meta Platforms, Inc কে.. যারা অতি শিঘ্রই ফেসবুকের মতো আমাদের অল্প সময়ের মধ্যে আবারো উপহার দিতে যাচ্ছে একটি নতুন সম্প্রদায়, একটি মুর্খ জাতি। সে দিন আর বেশী দূরে নয়।
লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমার ছোটো জ্ঞানে যা ধরে তাই লিখার চেষ্টা করি।