বাবা মানে খারাপ মানুষ
উঠতে বসতে চোখ রাংগানো,
বাবা মানে বদ মেজাজী,
সাত সকালে খুম ভাংগানো
বাবা মানে বিরক্তিকর
এটা করো, ও টা করো,
বাবা মানে অসহ্যকর,
সারাক্ষন পড় পড়।
বাবা মানে শাসন শোষণ
বাবা মানে ফ্যাসিবাদ,
বাবা মানে ফেডারেল
পরাধীনতার শক্ত বাঁধ।
বাবা মানে যন্ত্রনা, সারাক্ষন হুংকার,
বাবা মানে জীবনটা করে দেয়া ছাড়খার।
বাবা মানে কৃপন লোকের
জ্বলন্ত এক নমুনা,
বাবা মানে বোকা শোকা
উপদেশের কারখানা।
বাবা মানে মায়াহীন
আগাগোড়া হার্ড ম্যান,
বাবা মানে সেকেলে
আধুনিকতার নেই জ্ঞান।
বাবা মানে কামলা দেয়া
রুটি রুজির মেশিন,
ছেরা জুতো বাবার পায়ে
দিনের পর দিন।
বাবা মানে বাসে ঝুলা ঘাম ঝড়ানো লোক,
সুখবিহীন তার জীবনে নেই যে কোনো দুখ।
বাবা মানে অফিস বসের
ঝাড়ি খাওয়া অফিসার,
মুখ বুঝে সহ্য করা
অক্টোপাশের জীবন তার।
বাবা মানে ক্ষুধার পেটে চা-পানি খাওয়া,
গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, বাসার ভাড়া দেয়া।
বাবা মানে বাড়িওলার
কটু কথা শোনা,
নিঝুম রাতে জেগে জেগে
কষ্টের বীজ বোনা।
বাবা মানে মাস গেলে
টিউশন ফি চাওয়া,
বই, খাতা, কাগজ কলম,
টিফিন খরচ লওয়া।
বাবা মানে ঈদে অনেক কেনাকাটা করা,
নিজের জন্য না কিনে সবার চিন্তা করা।
বাবা মানে রেষ্টুরেন্টে
লাইট খাবার খাওয়া,
অন্য সবার পছন্দের
বড় বিলটা দেওয়া।
বাবা মানে সর্বদা যে উল্টা পাল্টা বুঝে,
সন্তাদের ভুল ত্রুতি সর্বদা যে খুজে।
বাবা মানে দোকান ঘাটে দরাদরি করা,
২/১ টাকা সেভ করতে দশ দোকানে ঘোরা।
বাবা মানে সব ভুলে
সংসার প্রিয় লোক,
সারাক্ষন চিন্তাযুক্ত
বিষন্ন এক মুখ।
বাবা মানে একটি মানুষ
চাহিদা পুরনে ব্যার্থ,
অমুক তমুকের বাবার মতো
থাকেনা যার সামর্থ।
বাবা মানে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক,
সংসারের বোঝা মাথায় চলে যিনি নির্ভিক।
বাবা মানে সত্যবাদি গোড়া এক ধার্মিক,
অন্যায় আপোষহীন, সত্যের পথিক।
বাবার মানে বদলে গেলো
যখন বাবা আমি,
বাবা হওয়া সহজ নয়
বাবা বিশাল দামী।
দশ পৃথিবি দিয়েও যেনো
কেনা যায়না বাবা,
হায়রে বাবা, আমার বাবা
ফ্যাসিবাদী বাবা।
বাপ হারিয়ে জীবন খেয়া চল্লো যখন ভেসে,
বাবা ছিলেন বটবৃক্ষ বুঝি অবশেষে।
একা একা চলি বাবা
বুক যে ভেঙ্গে যায়,
আজ বুঝি বাবারা কেন্
এমনতর হয়।
অর্থবিত্ত, বাড়ি গাড়ি
চাকরিও করি বেশ,
বাবার শোষনে শোষিত হয়ে
চলছে জীবন বেশ,
তবুও বাবা ভীষন একা,
ধু ধু মরুর বুকে,
বেঁচে আছি বাবাগো আমি
একলা ধুকে ধুকে।
