
ছন্দের পংক্তিমালা
ছন্দের পংক্তিমালা – অনুকাব্যে বাস্তবতার উপস্থাপন। স্রষ্টা, জীবনবোধ, ভালোবাসা, সম্পর্ক, নারী আর নিজেকে নিয়ে সৃজিত ভাবনার শব্দবুনন।
ছন্দের পংক্তিমালা
১.
লুকুচুরি খেলছি আজ
নিজের সাথেই নিজে,
বেশতো আছি, সুখেই আছি
অভিনেতা সেজে।
২.
পথহারা পথিক হয়ে
হাঠছি উল্টো পথে,
সঙ্গীহীন চলছি হেটে
কোন সে অজানাতে।
৩.
কিসের মোহে চলছি ছুটে
কোথায় এর শেষ,
জানিনা কেউ কবে হঠাৎ
হবো নিরুদ্দেশ।
৪.
হায়রে জীবন, ঠুনকো জীবন
দেয়া নেয়ার খেলা,
ধুলোর গঙ্গায় ভাসিয়েছি
মিথ্যে মায়ার ভেলা।
৫.
ব্যস্ত হয়ে ছুটছি সবাই
অর্থের পেছনে,
বিবেক বুড়োকে করেছি শেষ
জীবন্ত দাফনে।
৬.
ভুলে গেছি মায়া মমতা
রক্তের বাঁধন করেছি ছিন্ন,
আত্বীয়তাও করেছি শেষ
শুধুই স্বার্থের জন্য।
৭.
হে নারী, তুমি আমার
কন্যা, জায়া, জননী,
স্রষ্টার রহমত তুমি নারী
জানে এ ধরনী!
জানলে না কেবল তুমি নারী
নিজেকে বানালে পণ্য,
অর্থ, সুনাম, প্রতিপত্তি
ধরার সুখের জন্য।
৮.
কি পেলাম আর কি পেলাম না
হিসেব করাই ভুল,
ভাগ্যের লিখন লিখেছে বিধাতা
মিথ্যে হবেনা একচুল।
৯.
ভালো বাসতে বাসতে
ভালোবাসার সিন্দুক
হয়েছে আমার শুন্য,
বিনিময় পেলামনা কিছুই
আফসোস নেই এর জন্য।
১০.
শব্দের সাথে খেলা করি
শব্দের বুননে লিখি কবিতা,
প্রেম ভালবাসা, বিদ্রোহ, বিপ্লব
ফুটে উঠে সবি-তা।

ভালোবাসার সম্পর্কগুলো আজ শিথিল। স্বার্থের পিছু দৌঁড়াতে গিয়ে ভুলে গেছি রক্তের সম্পর্ক। স্বার্থ উদ্ধারে বিবেক বোধকে করেছি দাফন। জীবনকে করে তুলেছি নোংরাময় কেনা বেচার দোকান। নাম, সুনাম, খ্যাতি প্রতিপত্তির পেছনে ছুটে নিজেকে করে ফেলেছি সেই দোকানের পণ্য। ছুটে চলছি গন্তব্যহীন, নিরুদ্দেশ যাত্র। হিসেবের খাতা খুলে প্রতিটি মুহুর্তে হিসেব কষি পাওয়া না পাওয়ার। ভাবনার মানসপটে কখনোই যেনো উঁকি দেয়না আকস্মিক নিরুদ্দেশ হবার এই জীবনে ”কোথায় শেষ এই পথ চলার”। বিধাতা আমার জন্য যা লিখেছেন, তার বেশী কি আমার ঝোলায় সংগ্রহ করতে পারবো? কেনো এই আফশোস, কেনো এই হাপিত্যেস।