
করিম চাচা
করিম চাচা আমাদের সমাজের একজন সন্মানিত বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি। তারা সব যুগে সব কালে ছিলেন, আছেন থাকবেন। সমাজ সংসার তাদের এহেন কর্মকান্ডে তিক্ত বিরক্ত। তাদের সকলেই চিনেন, জানেন। তাদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করেন। তাদের ঘৃনা করেন। তাদের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকেন। তথাপি করিম চাচারা গায়ে পড়ে সমাজের সকলের সাথে সম্পর্ক রাখেন। এই করিম চাচা আর কেউ নয়, আমি, আপনি, আমরা নিজেরাই। এক সময় ”করিম ভাই“ শব্দ থেকে আমরাই সময়ের পরিক্রমায় ”করিম চাচা” বনে যাই। সম্পর্কের পদবী বদলে যায়, কিন্তু স্বভার বদলায় না।
সকল করিম চাচাদের জন্যেই এই কবিতা:
করিম চাচা ধূর্ত ভিষন
নিজের বুঝটা বুঝেন ভালো,
স্বার্থ ছাড়া চলেন নাতো
ফেলেন নাতো এক পা-ও।
ন্যায়ের কথা ঝড়ান সদাই
বেশ-ভুষায় হক্কানী,
স্বার্থের জন্য মিথ্যা হয়
তার মুখে সত্য বানী।
সারাদিন ব্যস্ত থাকেন
নাড়েন সবার পিছে কাঠি,
সবার দোষ খুঁজতে তিনি
করেন শুধুই ঘাটাঘাটি।
মুখে হাসি লেগেই থাকে
সবার খোঁজ রাখেন,
সবার কাধে হাত রেখে
সুখ দু:খ জানেন।
সুই হয়ে করিম চাচা
সবার ভিতর ঢুকেন,
ফাল হয়ে বের হন চাচা
অন্যের ক্ষতি করেন।
সাংঘাতিক এক আদমি চাচা
বুঝা বড়ই মুশকিল,
শয়তানি কর্মকান্ড
মাথায় করে কিলবিল।
পাকছে দাঁড়ি, পাকছে চুল
চামড়া গেছে ঝুলে,
মরার কথা চাচা গ্যাছেন
বেমালুম ভুলে।
করিম চাচাদের বিনাশ নাই। করিম ভাই, করিম চাচারা সমগ্র জীবনভর নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির জন্যেই ব্যস্ত থাকলেন। এই সমাজ সংসারে তাদের আগমন যেন স্বার্থ নামের এই ছোটটো শব্দটির পেছনে অশ্ব গতিতে ছুটে চলার জন্যেই।
করিম ভাই, করিম চাচাদের কখনেই বোধোদয় হয়না। হবেও না।